আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স . মেশিন লার্নিং ইউনিভার্সিটির রিচার্স / প্রজেক্ট কেমন হতে পারে? ইউনিভার্সিটি রিসার্চ/প্রজেক্ট আমরা ভয় পাই।...
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স . মেশিন লার্নিং
ইউনিভার্সিটির রিচার্স / প্রজেক্ট কেমন হতে পারে?
ইউনিভার্সিটি রিসার্চ/প্রজেক্ট আমরা ভয় পাই। যেদিন ফাইনাল সাবমিশান থাকে, সেদিন দেখা যায় ভি সাইন দিয়ে সবাই ছবি দিয়েছে, রেস্টুরেন্টে এক বেলা ভালো মন্দ খাওয়া হয়েছে মুক্তি পাওয়ার কারনে। আমি নিজেও করেছি! -_- কিন্তু, এর পেছনে অন্যতম কারনগুলোর মধ্যে একটা হচ্ছে, কি নিয়ে রিসার্চ করবো, কি নিয়ে প্রজেক্ট করবো আমাদের নজেল খুবই কম। কিন্তু ধরিয়ে দিতে পারলে, আমি দেখেছি অনেকেই ভালো করছে। যেমন, ব্র্যাকের একটা গ্রুপ মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠালো। কেউ স্মার্ট হোম বানাচ্ছে, কেউ রোবট, কেউ বট, কেউ নতুন কোন সল্যুশন। এগুলার যদি প্রয়োগ দেখা যেত, তাহলে উতসাহ বাড়তো। অবশ্যই সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। খালি লার্নিং আর্নিং করলে হবেনা।
স্টিভ জবস যখন আইফোন নিয়ে আসে প্রথমবার, তখন প্রেজেন্টেশানে বলেছিলো, ‘We wanna reinvent the phone’ , আমার কাছে মনে হয় এখনকার সময়টা রি-ইনভেন্ট এর। যেমন, এই মে মাসে Slack তাদের সার্চ ইঞ্জিনকে মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে রি-ইনভেন্ট করেছে। টেক্সটিও নামে একটা কোম্পানী আছে, যারা কিভাবে জবে হায়ার করতে লিখতে হবে, সেটা মেশিন লার্নিং অ্যালগোরিদম দিয়ে প্রেডিক্ট করে এমপ্লয়ারদের হেল্প করছে। দেখেন, টেক্সটিও বেশি কাজ করেনি, শুধু হায়ারিং রিইনভেন্ট করেছে। স্ল্যাক সার্চ রিইনভেন্ট করেছে। গুগল এর ডিপমাইন্ড প্রজেক্ট, ডেটা সেন্টার কুল করতে যে বিদ্যুত খরচ হয়, সেটাকে ৪০% ইফিশিয়েন্ট করেছে মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে। ভূমিকম্প প্রেডিকশান এর জন্যও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার হচ্ছে।
রাইড শেয়ারিং অ্যাপগুলোর খুব হাইপ দেখা যাচ্ছে এখন। পাঠাও ইতিমধ্যে নাম করে ফেলেছে। আমি আমার এক স্টুডেন্টকে একটা প্রজেক্ট দিয়েছি রিসেন্টলি, আগের ডেটা অ্যানালাইসিস করে যেন বের করতে পারে, বাইকগুলো কোন জায়গায় থাকলে সবচেয়ে দ্রুত কাস্টমারের কাছে পৌছাতে পারবে। ওর কিন্তু উবার পাঠাও বানাতে হবেনা এর জন্য। প্রসেস রি-ইনোভেট করলেই হবে।
আপনি অসুস্থ বোধ করছেন। অ্যাডা নামে একটা অ্যাপ আছে, ওর সাথে চ্যাট করবে। অ্যাডা আপনাকে সম্ভাব্য সাজেশান দিবে। এখানেও ফুল প্রজেক্ট করার কিছু নেই। ডিসিশান ট্রি দিয়েই করা যাচ্ছে। এটাও একটা ছোট প্রোজেক্ট।
ম্যাকডোনাল্ডস এর কিচেন এর প্রসেস নাকি এমন ভাবে ছিলো, যার ফলে অর্ডার ডেলিভেরি দিতে পারতো কুইকেস্ট টাইমে। এখন আর এ রিসার্চার/প্রজেক্ট ক্রিয়েটর, আপনাকে পুরা কিচেন বানাতে হবেনা – প্রচেস রি-ইনোভেট করে আপনি ভূমিকা রাখতে পারেন।
আমরা প্রজেক্টের কথা শুনলেই ভয় পাই। কিন্তু ছোট ছোট মজার জিনিস করেও আমরা দারুন সব প্রজেক্ট করতে পারি। যেমন, আপনি যদি জব এম্পয়ি এবং এপ্লয়ার ম্যাচিং এর জন্য নতুন প্রসেস বের করতে পারেন, বিডিজবস এর মত কোম্পানী ইন্টারেস্টেড হবে। আপনি পাত্র পাত্রি ম্যাচ করার বেটার প্রসেস বের করলে, জীবন সাথী ডট কম আপনার কাজে আগ্রহী হবে। :3 আপনি নেটওয়ার্ক বানানোর জন্য অ্যামেইজিং কিছু বের করলে, লিঙ্কডইন আপনার কাছে আগ্রহী হবে – আপনাকে নতুন করে লিঙ্কডইন বানাতে হবেনা। আপনি হেলথ রিলেটেড কোন টেক বের করলে অ্যাপলো/ল্যাব এইড আগ্রহী হবে , না হলে অনলাইনে আপনার প্রোডাক্ট কেনার মত কোম্পানীর অভাব হবেনা।
আপনি নর্মাল ব্লাড সার্চ অ্যাপ না বানায়ে, কখন ব্লাড লাগবে এমন কিছু তৈরী করতে পারেন, সেই অনুসারে স্টেপ্স নিতে মানুষকে হেল্প করার টেক বানাতে পারেন। সবার জন্য সেইম ইউডেমি কোর্স চলেনা। কার জন্য কেমন কোর্স ভালো, এই সমস্যা সমাধানের টেকনোলজী বের করতে পারেন।
গতকাল আরটিসান থেকে শার্ট নিচ্ছিলাম। পছন্দ করতে ২ মিনিট লেগেছে, ট্রায়াল দিলাম ৪ মিনিট। কিন্তু কাউন্টারে গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম ১০ মিনিটের মত। ওদের বল্লাম এত স্লো কেন। ওরা স্বীকারই করলোনা এটা স্লো। এখানে স্পীড আপ করার কোন টেকনোলজী বের করে। এই প্রসেস রি-ইনোভেট করেন। এরপর লাখ লাখ অউটলেটে সেল করেন।
আমার ফ্রেন্ডলিস্টের ৭০-৮০% মানুষ ও আমি নিজে কম্পিউটার সায়েন্স এর মানুষ – তাই এইকথাগুলো বলা। ভবিষ্যতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর রিসার্স ল্যাব করার চিন্তাও আজ কাল মাথায় উঁকি দিচ্ছে। এমন হয়ত আরো কেউ কেউ ভাবছেন। কথা হচ্ছে, এর জন্য রিসোর্স কই থেকে আসবে যদি সবাই ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ব্লগ বানায়ে প্রজেক্ট করে। টেক অনেক দূরে চলে গেছে, আমরা এখনো মার্ক যুকারবাগ আর বিল গেটস নিয়ে পড়ে আছি।
সামারি; প্রজেক্ট আইডিয়া কারো লাগলে আমাকে বলতে পারো। আমি হেল্প করবো। যে ভার্সিটির হও, যাই হও। মাঝে মাঝে মনে হয় সব আমিই করি -_- প্রজেক্ট/রিসার্চকে গুরত্ব দাও। ভালো কিছু হবে। আলাদা দেশ প্রেমিক হতে হবেনা, এগুলা ভালো করে করলেই দেশের ভালো।
COMMENTS