কম্পিউটার সায়েন্স ভার্সিটি প্রজেক্ট আইডিয়া একবার বলেছিলাম, ইউনিভার্সিটি বা নিজের মত প্রজেক্টের আইডিয়া লাগলে আমাকে জানাতে। যারা কথা বলেছে...
কম্পিউটার সায়েন্স
ভার্সিটি প্রজেক্ট আইডিয়া
একবার বলেছিলাম, ইউনিভার্সিটি বা নিজের মত প্রজেক্টের আইডিয়া লাগলে আমাকে জানাতে। যারা কথা বলেছেন, চেষ্টা করেছি আইডিয়া দিতে। এখন মনে হচ্ছে কিছু আইডিয়া শেয়ার করে দেই। কেউ কাজ করতে চাইলে করতে পারেন।
১। ফেক নিউজ ডিটেকটরঃ সোশিয়াল মিডিয়ায় আসলে দুনিয়ার নিউজ। কোনটা সত্য, কোনটা মিথ্যা বোঝার গতি নেই। এমন না যে এটা নিয়ে কেউ কাজ করছেনা, কিন্তু আপনার বানানো ডিটেক্টর হয়ত হতে পারে ভালো কিছু।
২। সরকারী কাজের সিঙ্ক করানোরঃ আপনার এলাকার রাস্তা পাকা করার কিছুদিন পর দেখবেন নতুন রাস্তা ওয়াসা কেটে পানির লাইন বসাচ্ছে। ওয়াসা যাওয়ার পর তিতাস এসে আবার কেটে গ্যাসের লাইন বানাচ্ছে। আপনি ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ডিজিটাল সল্যুশান নিয়ে আসলেন। এই কাজগুলোর মধ্যে সিঙ্ক হবে। এমন সমস্যার সমাধান হবে।
৩। অটো লাইট ফ্যান অফঃ আইওটি ও মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে অফিস বাসার লাইট ফ্যান এসি অটো অফ হয়ে যাবে। বিদ্যুত বাঁচবে অবশ্যই। অনেকেই কাজ করছে, আপনি নিয়ে আসতে পারেন স্মার্টেস্ট সল্যুশান।
৪। স্টোর প্রেডিকশনঃ কোন আড়তে কত আলু সেল হচ্ছে। কোথায় বেশি স্টোর করতে হবে? কোন এটিএম বুথ থেকে টাকা বেশি তোলা হয়? সেটা প্রেডিক্ট করে সেখানে বেশি টাকা রাখা। লাইব্রেরীতে কোন বই বেশি রাখতে হবে? মাস্টারিং জাভা কত কপি রাখতে হবে কোথায়? কেমন হয় যদি আগে থেকেই জানার সিস্টেম থাকা।
৫। চেইন শপ প্লেসঃ ধরুন, স্বপ্ন নতুন একটা শপ দিবে। আপনাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলো কোথায় দিলে ভালো হবে? এই নেন আমাদের কাস্টোমারদের লোকেশন। আপনি বিশাল সিস্টেম ডেভেলপ করে ফেল্লেন এবং সে বুদ্ধি করে বলে দেয় নেক্সট শপ দিতে হবে মিরপুর ডিওএইচএস এ।
৬। ভার্সিটির রিসার্চ পেপার স্টোরঃ প্রতি সেমিস্টারে শুধু সিএসই থেকেই কয়েক ‘শ রিসার্চ পেপার আসে। আই নো, এগুলার মান নিয়ে প্রশ্ন আছে। তবে, নতুন কেউ করতে গেলে সে যদি এগুলো দেখে এবং আইডিয়া পায়, সে এর চেয়ে ভালো কিছু করতে পারবে। আবার একটা রিসার্চ পেপার আপনার সাইটে দেখতে গেলে দুর্দান্তভাবে রিকেমেন্ডেশন হয়। যেমন, অ্যান্ড্রয়েড এর রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট নিয়ে করা রিসার্চ পেপার পড়তে গেলে আইওএস দেখায়।
৭। রাইড শেয়ারিং ফর ফ্রেন্ডসঃ ভার্সিটিতে দেখা যায় অনেকেই বাইক/কার নিয়ে আসে। বাইক নিয়ে আসলে এক সিট, কার নিয়ে আসলে ৩ সিট ফাঁকা থাকে। সিএসই এর কেউ বনানী থেকে উত্তরা যাচ্ছে, ভাবলো ভার্সিটির কাউকে নিয়ে যাই যার বাসা ঐদিকেই। ভালো না?
৮। টিচার স্টুডেন্ট ম্যাচঃ সব টিচার এর পড়ানোর একটা প্যাটার্ন থাকে। ওপেন ক্রেডিট সিস্টেম আমরা চাইলে যে কারো কোর্স নিতে পারি। কিন্তু যার কোর্স নিচ্ছি তিনি আমাকে ভালো মত বুঝাতে পারবেন তো? আমার স্টাইলের সাথে তার স্টাইল যাবে তো? কেমন হয় ডেটা অ্যানালাইসিস করে এমন একটা সিস্টেম বানানো গেলে?
৯। ফ্রেন্ডলিস্ট ব্লাড ডোনারঃ ধরেন, আপনার ফ্রেন্ডলিস্টের কেউ বি পজেটিভ রক্ত চেয়ে পোস্ট দিলো। সাথে সাথে আপনার মোবাইলে একটা নোটিফিকেশন চলে এল। আপনার ফ্রেন্ড আপনাকে বলতে হয়নি, আপনারও হোম পেজ স্কল করে জানতে হয়নি। কেমন হয় এমন কিছু বানানো গেলে?
১০। রিসোর্স বিনঃ ধরুন, আপনি জাভার সিঙ্গেলটোন নিয়ে দারুন একটা লিঙ্ক পেলেন। বুক মার্ক করার মত একটা সাইট আছে, সেখানে রেখে দিলেন। রাখার সাথে সাথে সিঙ্গেলটোন নিয়ে আরো যারা রেখেছে তাদেরগুলোও চলে এল। আপনি দেখলেন, ভালো লাগলে লাইক/আপ দিলেন। অন্যদের লাইক/আপ দেওয়াগুলো আগে দেখতে পেলেন। এমন অনেক কিছুর রিসোর্স পাওয়া যায় ওই বিনে। কেমন হয়? মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে আবার বিভিন্ন টপিক অটোমেট করাও যাবে। দারুন না?
১১। রি-সোর্স ম্যানেজমেন্টঃ ধরুন, প্রতি সেকেন্ডে আপনার কাছে ডিফারেন্ট সোর্স থেকে ১০ হাজার ইমেজ আসে। অথবা ২০ হাজার ডেটা আসে। এগুলো ম্যানেজ করার জন্য আপনার সার্ভারের ক্ষমতা সীমিত। আপনি এগুলো হ্যান্ডেল করার জন্য একটা সিস্টেম তৈরী করলেন। হাডুপের কথা অনেকেই জানি। হাডুপ কিন্তু এমন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা থেকেই তৈরী হয়েছিলো।
এমন অনেক আইডিয়া আছে। একটু ভাবলে আপনি পেয়ে যাবেন অনেক সমস্যা। লেগে পড়ুন সেগুলো সমাধানে। হতে পারে ইমেজ প্রসেসিং দিয়ে, হতে পারে মেশিন লার্নিং দিয়ে, হতে পারে দুই চারটা এলগোরিদম মিক্স করে, হতে পারে আপনার বানানো এলগোরিদম দিয়েই!
COMMENTS